Wednesday, 13 November 2019

আমাদের বন

 'বিশ্বময় বাংলাভাষা' কাব্যগ্রন্হ থেকে উদ্ধৃত

রোদ দুপুরে বনের ভিতর

গুল্ম লতার মাঝে

জবা - বেলীর নৃত্য চলে

অপরুপ সাজে ।

ফড়িং নাচে আপন মনে

ডুমুর গাছের তলে

কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গিন ফুলে

দোলা লাগে মনে ।

স্নিগ্ধ পবন বয়ে যায় বনভূমি জুড়ে

হরিণ পাল খাদ্য খুঁজে হেথায় - হোথায় চষে ।

কাক ডাকে কোকিল ডাকে পালক নেড়ে নেচে

এই খানেতে থাকতে চাই চিরকাল বেঁচে ।

আমাদের ছোট গাঁয়ের ছোট সেই বন

বায়ু দেয় ফল দেয় সারা জীবন ক্ষণ ।

আমাদের বনখানি হাজার বছর ধরে

কত স্মৃতি বয়ে বেড়ায় আঁচল ভরে ভরে ।

বাপ - চাচা পূর্ব পুরুষ সারা জীবন ভর

এই বনেতে খুঁজে পেতেন আপন শীতল ঘর ।


আমাদের বন ছড়াটির ইউটিউব লিঙ্ক:



Sunday, 10 November 2019

ট্রেন

ট্রেন
           শামসুর রাহমান

ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে
          রাত দুপুরে অই।
ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে

         ট্রেনের বাড়ি কই ?

একটু জিরোয়, ফের ছুটে যায়
         মাঠ পেরুলেই বন।
পুলের ওপর বাজনা বাজে
         ঝন ঝনাঝন ঝন।

দেশ-বিদেশে বেড়ায় ঘুরে
         নেইকো ঘোরার শেষ।
ইচ্ছে হলেই বাজায় বাঁশি,
         দিন কেটে যায় বেশ।

থামবে হঠাৎ মজার গাড়ি
        একটু কেশে খক।
আমায় নিয়ে ছুটবে আবার
        ঝক ঝকাঝক ঝক।

Saturday, 5 October 2019

যে কালে ময়না পালে


"বিশ্বময় বাংলাভাষা" কাব্যগ্রন্হ থেকে নেওয়া
ছবি: যে কালে ময়না পালে
বুলি শিখে কথা বলে

কিশোর বাবুর খুশি মেলে

যে কালে ময়না পালে

পাড়া গাঁয়ে সাড়া ফেলে।

বাম হাতে ঘুড়ি নিয়ে

ডান হাতে খাঁচা ধরে

কিশোর বাবু কথা বলে

ছুটে যায় দিঘীর পাড়ে।

খানিক পরে ঘুড়ি উড়ে

গগণ পানে ছো ছো করে

যায় ছুটে যায় রশি ছুটে

কিশোর বাবু খাঁচা ফেলে

দৌড়ে যায় নদীর ঘাটে।

প্রিয় সাথী সোহাগ এসে

খাঁচা দেখে হেসে ফেলে

খুশির ছটে ময়না নিয়ে

সোহাগ করে বুলি বলে ।

সারা বিকাল কেঁদে - কেঁদে

কিশোর বাবু অর্ধ - মরা

বাবা - মায়ের বকা খেয়ে

মনের জ্বালায় সুখে খরা।

সন্ধ্যা হলে সোহাগ আসে

দুই হাতে খাঁচা নিয়ে,

ফিরিয়ে দেয় বুলি পাখি

প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় দিয়ে।

যে কালে ময়না পালে

ভুলে কি কেউ কস্মিন কালে?

বারংবার চায় ফিরে যেতে

অপূর্ব স্বাদে পঞ্জিকা সালে।

এ কবিতাটির আবৃত্তির লিঙ্ক:




Saturday, 28 September 2019

শিশু পার্কে যাই

ছবি: শিশু পার্কে যাই
ভাইরে ভাইরে ভাই,
শিশু পার্কে যাই।
দলে দলে দোলনা চড়ে
কত মজা পাই!
খেলনা দিয়ে খেলার মাঝে
হঠাৎ ফুটে নাই।
মনে প্রাণে চাই
ওটা ফিরে পাই।

কাড়ি কাড়ি বেলুন দেখি
সারা পার্ক জুড়ে,
লাল বেলুন নীল বেলুন
রংধনুর সাজে-
ওড়ে যায় আকাশ পানে
সারি সারি ভাঁজে।

আমিও চাই ওড়ে যাই
বেলুনের সাথে,
ধরে ফেলি রংধনু
উল্লাসে মেতে।





শিশু পার্কে যাই ' ছড়াটির আবৃত্তির ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtu.be/NBYGtI8LNVY


Friday, 27 September 2019

একুশের কবিতা


ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখদুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায় ?
বরকতের রক্ত।
হাজার যুগের সূর্যতাপে
জ্বলবে এমন লাল যে,
সেই লোহিতেই লাল হয়েছে
কৃষ্ণচূড়ার ডাল যে !
প্রভাতফেরীর মিছিল যাবে
ছড়াও ফুলের বন্যা
বিষাদগীতি গাইছে পথে
তিতুমীরের কন্যা।
চিনতে না কি সোনার ছেলে
ক্ষুদিরামকে চিনতে ?
রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিলো যে
মুক্ত বাতাস কিনতে ?


পাহাড়তলীর মরণ চূড়ায়
ঝাঁপ দিল যে অগ্নি,
ফেব্রুয়ারির শোকের বসন
পরলো তারই ভগ্নী।
প্রভাতফেরী, প্রভাতফেরী
আমায় নেবে সঙ্গে,
বাংলা আমার বচন, আমি
জন্মেছি এই বঙ্গে।