Friday, 28 August 2020

দাদা বাড়ি


 আব্বু- আম্মু এবার চল দাদা বাড়ির পানে

দোয়েল - শালিক ডাকে মোদের মিষ্টি মধুর গানে।
দাদা বাড়ির গাছে ঝুলে মিষ্টি মজার আম
এসব খেতে দাদাভাই ডাকে মোদের নাম।
শহর জীবন বন্দীখানা চল গাঁয়ের টানে।
পুকুর জলে দেখব মোরা কত মাছের খেলা
বন্যা এলে জলাশয়ে চড়ব কলার ভেলা।
গাছ থেকে পেয়ারা পেড়ে খাব গো সুঘ্রাণে।

Co

Wednesday, 1 July 2020

খোকা যায় স্কুলে

খোকা যায় স্কুলে
কত সুন্দর সাজে
চিপ নিয়ে কাঁড়াকাড়িঁ
সহপাঠীর মাঝে।

জোরে জোরে ছড়া বলে
গলা ফাটিয়ে
মাঝে মাঝে খেলা করে
মন মাতিয়ে।

খোকা হাসে খুকি হাসে
পাগল পারা দাঁতে
ছুটি শেষে বাড়ি ফিরে
আম্মুর সাথে।

Tuesday, 30 June 2020

করোনার গান


কোন কারণে মন হাসে
 না
 করোনা গেল কই?
চতুর্দিকে শোক সংবাদ
কোথা মোর সই?


সারা ভুবন কাঁদে শুধু
খুকু হাসে না।
কোন খবরে ঘুম আসে না?
রাত জেগে রই।






Sunday, 3 May 2020

একতার গান


মিলেমিশে এক হয়ে যাই সকল মুমিন ভাই
দলে দলে ভাগ হতে মোরা নাহি চাই
পরিচয়ে শুধুই মুসলিম, আর কিছু নাই।
আল কুরআনের মহব্বতে এই হিম্মত পাই।


 বিশ্ব নবীর সুন্নাহ মানি ওরে মুমিন সবাই মিলে
একই কাবায় তাওয়াফ করি সকল হাজী দলে দলে।
একই কুরআন ফলো করি সকল মুমিন মুসলমান
একই আল্লাহর নামায পড়ি যিনি মেহেরবান।

মোর নবীজির রেখে যাওয়া এক উম্মার বিভক্তি নাই।
 ঐ

সবাই মিলে ঈদ করি বিশ্ব মুমিন মুসলমান
একই নিয়ম ফলো করে  জানাযাতে যাই  বিসমিল্লাহতে  শুরু করি শেষ নবীজির  উম্মত তাই। 
 (মোরা) একই দেহের বিভিন্ন প্রাণ,  আর কিছু নাই।

  ঐ

 মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন রচিত এই গানটির 
প্রথম শিল্পী এইচ. এম. আলাউদ্দিন

Milemishe ek hoye zai sokol mumin bhai
Lyric & Tune: Muhammad Helal Uddin
Singer: H. M. Alauddin




Friday, 24 April 2020

ময়নামতির চর


এ-পারের এই বুনো ঝাউ আর ও পারের বুড়ো বট
মাঝখানে তার আগাছায় ভরা শুকনো গাঙের তট ;
এরি উঁচু পারে নিত্য বিহানে লাঙল দিয়েছে চাষী,
কুমীরেরা সেথা পোহাইছে রোদ শুয়ে শুয়ে পাশাপাশি |
কূলে কূলে চলে খরমূলা মাছ, দাঁড়িকানা পালে পালে
ছোঁ দিয়ে তার একটারে ধরি’ গাঙ চিল বসে ডালে
ঠোঁটে চেপে ধরি’ আছাড়ি আছাড়ি নিস্তেজ করি তায়
মুড়ো পেটি লেজ ছিঁড়ি একে একে গিলিয়া গিলিয়া খায় |
এরি কিছু দূরে একপাল গোরু বিচরিছে হেথা সেথা
শিঙে মাটি মাখা দড়ি ছিঁড়ি ষাঁড় চলে সে স্বাধীনচেতা |
মাথা নিচু করি কেহ বা ঝিমায় কেহ বা খেতেছে ঘাস,
শুয়ে শুয়ে কেহ জাবর কাটিয়া ছাড়িতেছে নিঃশ্বাস ;
গোচর পাখিরা ইহাদের গায়ে নির্ভয়ে চলে ফেরে
উকুন আঠালু ঠোকরিয়া খায় লেজের পালক নেড়ে ;
বক পাখিগুলো গোচরকীয়ার হয়েছে অংশীদার
শালিক কেবলই করিছে ঝগড়া কাজ কিছু নাই তার |

নতুন চরের পলি জমিটাতে কলাই বুনেছে যারা
আখের খামারে দিতেছে তারাই রাতভর পাহারা ;
খেতে কোণায় বাঁশ পুঁতে পুঁতে শূণ্যে বেঁধেছে ঘর
বিচালী বিছায়ে রচেছে শয্যা বাঁশের বাখারি ‘পর |
এমন শীতেও মাঝ মাঠে তারা থড়ের মশাল জ্বালি
ঠকঠকি নেড়ে করিছে শব্দ হাতে বাজাইছে তালি |
ওপার হইতে পদ্মা সাঁতারি বন্য বরাহ পাল
এ-পারে আসিয়া আখ খায় রোজ ভেঙে করে পয়মাল |
তাই বেচারিরা দারুণ শীতেও এসেছে নতুন চরে
টোঙে বসি বসি জাগিতেছে রাত পাহারা দেবার তরে ;
কুয়াশা যেন কে বুলায়ে দিয়েছে মশারির মত করি
মাঠের ওপারে ডাকিতেছে “ফেউ” কাঁপাইয়া বিভাবরী |
ঘুমেল শিশুরা এই ডাক শুনি জড়ায়ে ধরিছে মায়,
কৃষাণ যুবতী ঝাপটি তাহারে মনে মনে ভয় পায় ;
“ফেউ” নাকি চলে বাঘের পেছনে গাঁয়ের লোকেরা বলে
টোঙের মানুষ ভাবিতেছে ঘর, ঘর ভেজে আঁখি জলে |
এই চরে ওই হালটার কোণে বিঘে দুই ক্ষেত ভরি
বট ও পাকুড়ে দোঁহে ঘিরে ঘিরে করি আছে জড়াজড়ি |
গাঁয়ের লোকেরা নতুন কাপড় তেল ও সিঁদুর দিয়া
ঢাক ঢোল পিটি গাছ দুইটির দিয়ে গেছে নাকি বায়া |
নতুন চালুনি ভেঙে গেছে তার, মুছি আর কড়িগুলা
রাখাল ছেলেরা নিয়ে গেছে সব ভরি গামছায় ঝুলা |
চড়কের মেলা এই গাছতলে হয় বছরের শেষে
সে দিন যেন গো সারা চরখানি উত্সবে ওঠে হেসে |
বটের পাতায় নৌকা গড়িয়া ছেড়ে দেয় জলে কেউ,
এই চর হতে ওই গাঁ’র পানে নিয়ে যায় তারে ঢেউ |
ছোট ছেলেপুলে বাঁশি কিনে কিনে বেদম বাজায়ে চলে,
বুড়োদের হাতে ঠোঙায় খাবার, কাশে আর কথা বলে |
ছেঁড়া কলাপাতা টুকড়ো বাতাসা চারিদিকে পড়ে রয়
পরদিনে তার রাখাল ছেলেরা সবে মিলে ঘুঁটে লয় ;
উত্সব শেষে খাঁ খাঁ করে হায় শূণ্য বালির চর—
এ পারের পানে চাহিয়া ও পার কাঁদে শুধু রাত ভর |


বৃষ্টির ছড়া

ফর্‌রুখ আহমদ

বৃষ্টি এল কাশ বনে
জাগল সাড়া ঘাস বনে,
বকের সারি কোথা রে
লুকিয়ে গেল বাঁশ বনে।

নদীতে নাই খেয়া যে,
ডাকল দূরে দেয়া যে,
কোন সে বনের আড়ালে
ফুটল আবার কেয়া যে।

গাঁয়ের নামটি হাটখোলা,
বিষ্‌টি বাদল দেয় দোলা,
রাখাল ছেলে মেঘ দেখে,
যায় দাঁড়িয়ে পথ-ভোলা।

মেঘের আঁধার মন টানে,
যায় সে ছুটে কোন খানে,
আউশ ধানের মাঠ ছেড়ে
আমন ধানের দেশ পানে।

Tuesday, 14 April 2020

পাখি সব করে রব


মদনমোহন তর্কালঙ্কার


পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল।
কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল।।
শীতল বাতাস বয় জুড়ায় শরীর।
পাতায়-পাতায় পড়ে নিশির শিশির।।
ফুটিল মালতী ফুল সৌরভ ছুটিল।
পরিমল লোভে অলি আসিয়া জুটিল ॥

গগনে উঠিল রবি সোনার বরণ।
আলোক পাইয়া লোক পুলকিত মন ॥
রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে।
শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে ॥
উঠ শিশু মুখ ধোও পর নিজ বেশ।
আপন পাঠেতে মন করহ নিবেশ ॥

Friday, 10 April 2020

একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর আমার


একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর
রে মন আমার
কেন বান্ধ দালান ঘর?

প্রাণপাখি উড়ে যাবে পিঞ্জর ছেড়ে
ধরাধামে সবই রবে, তুমি যাবে চলে
বন্ধু বান্ধব যতো, মাতা-পিতা, দারা-সুতো
সকলই হবে তোমার পর।।
মন আমার ...
কেন বান্ধ দালান ঘর?

দেহ তোমার চর্মচর গলে পচে যাবে
শিরা উপশিরাগুলো ছিন্নভিন্ন হবে
মুণ্ডু মেরুদন্ড, সবই হবে খন্ড খন্ড
পড়ে রবে মাটিরও উপর।।
মন আমার ...
কেন বান্ধ দালান ঘর?

নাই বিছানা নাই রে পানি ভেতরে ঘোর অন্ধকার
তার ভিতরে পড়ে রবি ওরে মুনীর সরকার
কিসের ইষ্টি পুত্র? কিসের ইষ্ট মিত্র?
দম ফুরাইলে সবই হবে পর।।
মন আমার ...
কেন বান্ধ দালান ঘর?
  • কথা ও সুর: বাউল মুনীর সরকার


Tuesday, 24 March 2020

মেঘনায় ঢল


হুমায়ুন কবির

শোন মা আমিনা, রেখে দে রে কাজ ত্বরা করে মাঠে চল,

এল মেঘনার জোয়ারের বেলা
এখনি নামিবে ঢল।
নদীর কিনার ঘন ঘাসে ভরা
মাঠ থেকে গরু নিয়ে আয় ত্বরা
করিস না দেরি- আসিয়া পড়িবে সহসা অথই জল
মাঠ থেকে গরু নিয়ে আয় ত্বরা মেঘনায় নামে ঢল।

এখনো যে মেয়ে আসে নাই ফিরে- দুপুর যে বয়ে যায়।
ভরা জোয়ারের মেঘনার জল কূলে কূলে উছলায়।
নদীর কিনারা জলে একাকার,
যেদিকে তাকাই অথই পাথার
দেখতো গোহালে গরুগুলো রেখে গিয়েছে কি ও পাড়ায়?
এখনো ফিরিয়া আসে নাই সে কি? দুপুর যে বয়ে যায়।

Monday, 23 March 2020

খেয়াল খুশি

সূর্য নিজে
গগণ হতে
খেয়াল খুশি আলো ছিটায়
পূর্ণ তেজে।

পাখি নিজে
বাসা হতে
খেয়াল খুশি ছড়িয়ে পড়ে
খাবার খোঁজে।

ফাগুন এলে
সাড়া ফেলে
খেয়াল খুশি ফুল ফুটিয়ে
প্রকৃতি সাজে।

কী জলে
কী স্হলে
চারিদিকে কান পাতিয়ে শুনতে পাবে
  

Friday, 20 March 2020

আজিকার শিশু




আজিকার শিশু
সুফিয়া কামাল

আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা
তোমরা এ যুগে সেই বয়সেই লেখাপড়া কর মেলা।
আমরা যখন আকাশের তলে ওড়ায়েছি শুধু ঘুড়ি
তোমরা এখন কলের জাহাজ চালাও গগন জুড়ি।
উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু সব তোমাদের জানা
আমরা শুনেছি সেখানে রয়েছে জিন ,পরী, দেও, দানা।
পাতালপুরীর অজানা কাহিনী তোমরা শোনাও সবে
মেরুতে মেরুতে জানা পরিচয় কেমন করিয়া হবে।
তোমাদের ঘরে আলোর অভাব কভূ নাহি হবে আর
আকাশ-আলোক বাঁধি আনি দূর করিবে অন্ধকার।
শস্য-শ্যামলা এই মাটি মা'র অঙ্গ পুষ্ট করে
আনিবে অটুট স্বাস্থ্য, সবল দেহ-মন ঘরে ঘরে।
তোমাদের গানে, কল-কলতানে উছসি উঠিবে নদী-
সরস করিয়া তৃণ ও তরুরে বহিবে সে নিরবধি
তোমরা আনিবে ফুল ও ফসল পাখি-ডাকা রাঙা ভোর
জগৎ করিবে মধুময়, প্রাণে প্রাণে বাঁধি প্রীতিডোর।

Wednesday, 11 March 2020

মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এর বিখ্যাত কবিতাবলী

আমাদের ঘর



বাংলাদেশের একটি স্হানে একটি ছোট ঘর
শুনতে পাই সেথায় নিতি আব্বু, আম্মুর স্বর।
দুই ভাই, দুই বোন মজা করি রোজ
সদা মোরা একত্রে খেতে বসি ভোজ।
আম্মুর রান্না করা কত মজার ভোজ
তৃপ্তি নিয়ে খাই মোরা ভাইয়ে, বোনে রোজ।

সন্ধ্যা হলে বসে পড়ি পড়ার টেবিলে
আম্মু নিজে পড়িয়ে দেন কোথাও আটকে গেলে।
বাহির থেকে আব্বু আসেন সাথে নিয়ে মজা
সবাই মিলে খেয়ে ফেলি থাকতে থাকতে তাজা।
ভাই - বোন পরস্পরকে কত ভালবাসি
আনন্দে আছি মোরা চোখে - মুখে হাসি।

আমাদের বন


রোদ দুপুরে বনের ভিতর

গুল্ম লতার মাঝে

জবা - বেলীর নৃত্য চলে

অপরুপ সাজে ।

ফড়িং নাচে আপন মনে

ডুমুর গাছের তলে

কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গিন ফুলে

দোলা লাগে মনে ।

স্নিগ্ধ পবন বয়ে যায় বনভূমি জুড়ে

হরিণ পাল খাদ্য খুঁজে হেথায় - হোথায় চষে ।

কাক ডাকে কোকিল ডাকে পালক নেড়ে নেচে

এই খানেতে থাকতে চাই চিরকাল বেঁচে ।

আমাদের ছোট গাঁয়ের ছোট সেই বন

বায়ু দেয় ফল দেয় সারা জীবন ক্ষণ ।

আমাদের বনখানি হাজার বছর ধরে

কত স্মৃতি বয়ে বেড়ায় আঁচল ভরে ভরে ।

বাপ - চাচা পূর্ব পুরুষ সারা জীবন ভর

এই বনেতে খুঁজে পেতেন আপন শীতল ঘর ।

যে কালে ময়না পালে

বুলি শিখে কথা বলে

কিশোর বাবুর খুশি মেলে

যে কালে ময়না পালে

পাড়া গাঁয়ে সাড়া ফেলে।

বাম হাতে ঘুড়ি নিয়ে

ডান হাতে খাঁচা ধরে

কিশোর বাবু কথা বলে

ছুটে যায় দিঘীর পাড়ে।

খানিক পরে ঘুড়ি উড়ে

গগণ পানে ছো ছো করে

যায় ছুটে যায় রশি ছুটে

কিশোর বাবু খাঁচা ফেলে

দৌড়ে যায় নদীর ঘাটে।

প্রিয় সাথী সোহাগ এসে

খাঁচা দেখে হেসে ফেলে

খুশির ছটে ময়না নিয়ে

সোহাগ করে বুলি বলে ।

সারা বিকাল কেঁদে - কেঁদে

কিশোর বাবু অর্ধ - মরা

বাবা - মায়ের বকা খেয়ে

মনের জ্বালায় সুখে খরা।

সন্ধ্যা হলে সোহাগ আসে

দুই হাতে খাঁচা নিয়ে,

ফিরিয়ে দেয় বুলি পাখি

প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় দিয়ে।

যে কালে ময়না পালে

ভুলে কি কেউ কস্মিন কালে?

বারংবার চায় ফিরে যেতে

অপূর্ব স্বাদে পঞ্জিকা সাল

শিশু পার্কে যাই


ভাইরে ভাইরে ভাই,
শিশু পার্কে যাই।
দলে দলে দোলনা চড়ে
কত মজা পাই!
খেলনা দিয়ে খেলার মাঝে
হঠাৎ ফুটে নাই।
মনে প্রাণে চাই
ওটা ফিরে পাই।

কাড়ি কাড়ি বেলুন দেখি
সারা পার্ক জুড়ে,
লাল বেলুন নীল বেলুন
রংধনুর সাজে-
ওড়ে যায় আকাশ পানে
সারি সারি ভাঁজে।

আমিও চাই ওড়ে যাই
বেলুনের সাথে,
ধরে ফেলি রংধনু
উল্লাসে মেতে।


বাংলাদেশ
স্বাধীন বাংলাদেশ !

ধরণীর বুকে আকাঙ্ক্ষার ভূমি মোদের,

মোদের চিরায়ত মঞ্জিল ।

ফুল - ফল ও ফসলে রহে আবাদ

জিন্দেগী মোদের শান্তির আস্বাদ,

হিন্দু - মুসলিম সাম্যের মৈত্রী - প্রীতির বন্ধনে

দিকে দিকে হেথা ধ্বনিছে মানবতার কল্যাণ,

মজলুমের স্মৃতির একাত্তরে অম্লান

যারা তলাবিহীন ঝুড়ি,যারা অন্ন হারা

এই মঞ্জিলে আজ খুঁজে পাচ্ছে তারা

--- জীবনের সঞ্চয় অফুরান ।।

অধিকার বিহীন ছিল যারা সীমাহীন,

এ মাটি আজ তাদের স্বপ্ন ফলনে রঙ্গিন।

অবনীর বুকে স্বীকৃত মডেল মোরা আজ,

জীবনের নানা সূচকের লক্ষ্য পূরণের অধিকারে ।

পার্বত্য শৈল কেওকারাডং শীর্ষ,

চিরায়ত জননী মোদের জন্মভূমি,

দুনিয়ার জান্নাত সগৈরবে বুলন্দ।।

নয়ন জুড়ানো সমুদ্র সৌকত

অঙ্গ ধৌত গৌরব শানিত,

পদ্মা - যমুনা -ডাকাতিয়া বাহিত -

স্নিগ্ধ অমৃত ধারা ।

দেশের তরে সারাটি জীবন ভরে

মোরা জাগ্রত কর্মী, মোরা স্বপ্ন পূরণে দৃপ্ত ।

জোনাক জ্বলে উঠে

চাঁদনী রাতে ঘরের পিছে

গুল্ম - লতার মাঝে

মিট - মিট -মিট আলো ছড়ায়

দৃষ্টিনন্দন সাজে ।

কুমড়ো ফুলে দোয়েল পাখি

ডাকছে খোকায় শেষে,

ঝাঁকে ঝাঁকে সারি সারি

জোনাক জ্বলে উঠে ।

এমনি সময় খোকা বাবু

ঘরের বাইরে এসে

একটি জোনাক ধরে ফেলে

দু' ঠোঁট মিলে হাসে।
বিবেক দিয়েছ তুমি প্রত্যেকের করে

ইচ্ছার স্বাধীনতা অর্পণ করেছ

হে রাজাধিরাজ, প্রত্যেকের পরে ।

উদারতা যেথা ক্ষীণ দূর্বলতা

মনন বিকাশ চাই সেথাই সেথা ।

কল্যাণ করিবার ব্রত রসনায় মম

জ্বলি উঠি যেন তোমার ইঙ্গিতে ।

অন্যের ক্ষতি দেখিলে যেন

গর্জে উঠি  পরতে পরতে ।

পেশি শক্তি যেন নাহি ডরি

Sunday, 23 February 2020

আমাদের ঘর


        
শুনতে পাই সেথায় নিতি আব্বু, আম্মুর স্বর।
দুই ভাই, দুই বোন মজা করি রোজ
সদা মোরা একত্রে খেতে বসি ভোজ।
আম্মুর রান্না করা কত মজার ভোজ
তৃপ্তি নিয়ে খাই মোরা ভাইয়ে, বোনে রোজ।

সন্ধ্যা হলে বসে পড়ি পড়ার টেবিলে
আম্মু নিজে পড়িয়ে দেন কোথাও আটকে গেলে।
বাহির থেকে আব্বু আসেন সাথে নিয়ে মজা
সবাই মিলে খেয়ে ফেলি থাকতে থাকতে তাজা।
ভাই - বোন পরস্পরকে কত ভালবাসি
কত সুখে আছি মোরা চোখে - মুখে হাসি।


ছড়াটির ইউটিউব লিঙ্ক:
https://youtu.be/XNmNmqOKaJ8